৩৫। তেত আসলে হলো চাইনিজদের লুনার নিউ ইয়ারের দিন, ভিয়েতনামিসরা চিনাদের  dịch - ৩৫। তেত আসলে হলো চাইনিজদের লুনার নিউ ইয়ারের দিন, ভিয়েতনামিসরা চিনাদের  Việt làm thế nào để nói

৩৫। তেত আসলে হলো চাইনিজদের লুনার নি

৩৫। তেত আসলে হলো চাইনিজদের লুনার নিউ ইয়ারের দিন, ভিয়েতনামিসরা চিনাদের ক্যালেন্ডার মেনে চলে। উৎসব মোটামুটি সপ্তাহ ধরে চলে আর মাস ধরে তার রেশ থেকে যায়। লুনার নিউ ইয়ার শুরু হয় জানুয়ারির শেষ থেকে ফেবের মধ্যে। আর বছর গুলো পশুর নামে হয়। সে ভারি অদ্ভুত ব্যাপার। আদিবাসিরা যেমন পশুদের আচরন অনুযায়ী মানুষকে দেখতো(টোটেম), তেমন প্রাচীন সভ্যতাগুলোতেও পশুর আচরন খুব মন দিয়ে দেখা হত মনে হয়। আমাদের মতনই ভিয়েতনামিসরাও এই উৎসবের জন্য অনেক আগে থেকে প্রস্তুত হয়। ঘর পরিস্কার, নতুন জামা কেনা, ঘরদোর নতুন রং করা, সাজানো, গিফট কিনে রাখা, খাবার যা বানাবে তার রসদ সংগ্রহ, ঠিক যেমন আমরা পুজোতে বা মুসলিমরা ঈদে, খ্রীস্টানরা বড়দিনের প্রস্তুতি নেয় তেমন ভাবেই। আসলে মানুষের বেসিক নেচার একই হয় মনে হয়, কেবল জায়গার পার্থক্যে নানান ধর্ম আর জাতি। কেন যে আমরা এই ছোট্ট সত্যি টা ভুলে যাই কে জানে! আসলে অত্যন্ত ইন্সিকিউরিটি থেকে এমন হয় কি! নইলে যে যার মত থাকুকনা কেন, অন্য কাউকে ছোট না করলে, ঘৃনা না করলেই তো বেশ পাশাপাশি থাকা যায়।

উৎসবের সাতদিন সব দপ্তর ছুটি থাকে, এমনকি ভিয়েতনামিস মালিকানার ছোট দোকান ও সব বন্ধ থাকে। কাজেই ঐ সাতদিনের বাজার আগেই করে রাখতে হয়। পুরো শহর আর পার্কগুলো সেজে ওঠে আলোয় , রঙীন কাগজের নানান শিল্পে। প্রচুর গাছ বিক্রি হয়। বনসাই থেকে শুরু করে রীতিমত মহারুহ পর্যন্ত , আর সে সব টবেই। আর তার থেকেও আশ্চর্য্য সেই সব আট দশ ফুটিয়া বিশাল গাছেদের , ঐ বিরাট টব সমেত ওরা বাইকে করে ডেলিভারি দিয়ে আসে। এখানকার মানুষ দিব্যি ল্যাদখোর। সমস্ত কাজ আগে থেকে সেরে রেখে সেই কদিন কেবল দোলনায় শুয়ে, মাছ ধরে কাটিয়ে দেয়। আর বিকেলে ঘুরে বেড়ায় শহর জুড়ে। সেই "সাত আটটা হাটের যেন গন্ডগোলকে এক করিয়া।/রেখেছে এই মাঠের মাঝে নরমুন্ডের জাল ঘিরিয়া।।" মেজাজ তখন শহর জুড়ে, রাত্রিরেই শহর যেন জেগে ওঠে। সিটি সেন্টারের ঠিক রেক্স হোটেলের অপর পারে ট্যাক্স মার্কেটের (ট্যাক্স মার্কেট শুনলাম ভেঙ্গে দিচ্ছে, অন্য কিছু হবে, আমার বড় প্রিয় জায়গা ছিলো) সামনের রাস্তা জুড়ে, নদীর তীর পর্যন্ত গোটা রাস্তাটা দারুন সাজায়, ঠিক মাঝখানে ফুলে ফুলে ভর্তি। একবার তো রীতিমত একটা গ্রাম তৈরী করে দিয়েছিলো রাতারাতি। সেই ধান গাছ মাথা দোলাচ্ছে, পুকুর সব কিছু। মজা হচ্ছে এই একটা রাস্তা যেহেতু আটকানো তাই প্যারালাল রাস্তাগুলো সব কড়া নজর রাখা হয় যাতে পরিবহন ব্যবস্থা অচল না হয়ে যায়। আমাদের দুর্গাপুজোর কর্মকর্তারা একটু দেখে আসতে পারে কিভাবে অসুবিধা না সৃস্টি করেও আনন্দ করা যায়। আর যেদিন তেত শেষ সেদিন রাতারাতি রাস্তা পরিস্কার হয়ে যায়। পরদিন সকালে মনেই হবে না এত কিছু ছিলো সেখানে রাত অবধি। আসলে সব ছোট ছোট টব লাগিয়ে তৈরী হয়, কাজেই গাড়ী বোঝাই করে টব গুলো, বা যে বাড়ী বা অন্য কিছু বানানো হয় তার পার্ট গুলো ও সহজে খুলে, তুলে নিয়ে চলে যায়। সময় লাগে না। আর এখানকার মানুষ জানে, এটা নিয়ম , মানতে হবে। আমাদের মতন নিয়ম মানেই ভাঙতে হবে আর তা নিয়ে বিপ্লব করতে হবে এই ভাবনাটা ভাগ্গিস নেই।আর খাবারের স্টল গুলোতে নানান ধরনের মাংস পাওয়া যায় এই সময়। এখান থেকে কুমীর আর উটপাখির মাংস ও খেলাম, সেঁকে দেওয়া। খুব আলাদা কিছু লাগে নি অবশ্য।

তেতের শুরুতে আর ইংলিশ নিউ ইয়ারের শুরুতে বাজি ফাটানো হয়। তবে এখানে কনসেপ্ট টা অন্য। এখানে বাজিটা সরকার থেকে জ্বালানো হয়, নদীর পারে, সারা শহরের মানুষ এসে ভীড় করে তা দেখে। ব্যক্তিগত ভাবে নয়। সব ই আতস বাজি। আকাশে নানা রঙের ম্যাজিক চলতে থাকে বেশ কিছুক্ষন। একবার আমিও গেলাম দেখতে। সবাই বাইক , সাইকেল নিয়ে ভীড় করে। লোকে লোকে ঠাসাঠাসি অবস্থা। মজার ব্যাপার হচ্ছে এত ভীড়েও কোন অসভ্যতা সহ্য করতে হয় না। আমাদের ভারতীয় মেয়েদের মেয়ে হয়ে ওঠা ইস্তক নিজের শরীর নিয়ে যে চুড়ান্ত অস্বস্তি আর লজ্জা নিয়ে মরতে হয়, এখানে তা নয়। আমাদের কেমন একটা অভ্যেস ই হয়ে যায় ভীড় দেখলেই ব্যাগটা বুকের কাছে তুলে বা হাত কে রেডি রেখে নিজেকে বাঁচিয়ে চলা অকারন অস্বস্তি বা ব্যাথা পাওয়া থেকে নিজেদের বাঁচাতে, এখানে তা হয় না। কিন্তু এখানে সেক্স নিয়ে অত ট্যাবু নেই। বাচ্চাকাচ্চা বড় হয়ে গেলেই তারা পার্টনার খুঁজে নেয় আর সেখানে প্লেটোনিক লাভ বলে কিছু নাই। যদিও বিয়ের আগে বাচ্চা সমাজে অ্যাক্সেপ্টেড নয়। এবার ব্রেক আপ ও যথেষ্ট হয়, যখন ফাইনালি বিয়ে করতে যাচ্ছে তখন দুজনেই জানে যে অপর পক্ষ কৌমার্য্য রক্ষা করে রেখেছে এমন নাও হতে পারে। এমনকি মিল না হলে ডিভোর্স ও যথেচ্ছ হয়। তবে ঐ আর কি, পরকীয়াটা ও সমাজে মোটেই মেনে নেওয়ার নয়। মানে যখন যে রিলেশনেই থাক না কেন তার প্রতি দায়বদ্ধ থাকলেই হলো। আমার মাঝে মাঝে খটকা লাগে, আসলে আমাদের বিবাহ বহির্ভুত যে কোন সেক্স ই পাপ এই ভাবনাটা আর তার চেপে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা টা ই এই অসভ্যতার মূল কারন, নাকি আমাদের সমাজে মেয়েদের শারিরীক ভাবে হ্যারাস করে দমিয়ে দেওয়ার সহজ পদ্ধতি কাজে লাগিয়েই বেশিরভাগ ব্যর্থ সাইকো মানুষেরা সুযোগ নেয়।কে জানে! তবে যুগ পাল্টাচ্ছে এটাই আশার কথা।
0/5000
Từ: -
Sang: -
Kết quả (Việt) 1: [Sao chép]
Sao chép!
৩৫। তেত আসলে হলো চাইনিজদের লুনার নিউ ইয়ারের দিন, ভিয়েতনামিসরা চিনাদের ক্যালেন্ডার মেনে চলে। উৎসব মোটামুটি সপ্তাহ ধরে চলে আর মাস ধরে তার রেশ থেকে যায়। লুনার নিউ ইয়ার শুরু হয় জানুয়ারির শেষ থেকে ফেবের মধ্যে। আর বছর গুলো পশুর নামে হয়। সে ভারি অদ্ভুত ব্যাপার। আদিবাসিরা যেমন পশুদের আচরন অনুযায়ী মানুষকে দেখতো(টোটেম), তেমন প্রাচীন সভ্যতাগুলোতেও পশুর আচরন খুব মন দিয়ে দেখা হত মনে হয়। আমাদের মতনই ভিয়েতনামিসরাও এই উৎসবের জন্য অনেক আগে থেকে প্রস্তুত হয়। ঘর পরিস্কার, নতুন জামা কেনা, ঘরদোর নতুন রং করা, সাজানো, গিফট কিনে রাখা, খাবার যা বানাবে তার রসদ সংগ্রহ, ঠিক যেমন আমরা পুজোতে বা মুসলিমরা ঈদে, খ্রীস্টানরা বড়দিনের প্রস্তুতি নেয় তেমন ভাবেই। আসলে মানুষের বেসিক নেচার একই হয় মনে হয়, কেবল জায়গার পার্থক্যে নানান ধর্ম আর জাতি। কেন যে আমরা এই ছোট্ট সত্যি টা ভুলে যাই কে জানে! আসলে অত্যন্ত ইন্সিকিউরিটি থেকে এমন হয় কি! নইলে যে যার মত থাকুকনা কেন, অন্য কাউকে ছোট না করলে, ঘৃনা না করলেই তো বেশ পাশাপাশি থাকা যায়।

উৎসবের সাতদিন সব দপ্তর ছুটি থাকে, এমনকি ভিয়েতনামিস মালিকানার ছোট দোকান ও সব বন্ধ থাকে। কাজেই ঐ সাতদিনের বাজার আগেই করে রাখতে হয়। পুরো শহর আর পার্কগুলো সেজে ওঠে আলোয় , রঙীন কাগজের নানান শিল্পে। প্রচুর গাছ বিক্রি হয়। বনসাই থেকে শুরু করে রীতিমত মহারুহ পর্যন্ত , আর সে সব টবেই। আর তার থেকেও আশ্চর্য্য সেই সব আট দশ ফুটিয়া বিশাল গাছেদের , ঐ বিরাট টব সমেত ওরা বাইকে করে ডেলিভারি দিয়ে আসে। এখানকার মানুষ দিব্যি ল্যাদখোর। সমস্ত কাজ আগে থেকে সেরে রেখে সেই কদিন কেবল দোলনায় শুয়ে, মাছ ধরে কাটিয়ে দেয়। আর বিকেলে ঘুরে বেড়ায় শহর জুড়ে। সেই "সাত আটটা হাটের যেন গন্ডগোলকে এক করিয়া।/রেখেছে এই মাঠের মাঝে নরমুন্ডের জাল ঘিরিয়া।।" মেজাজ তখন শহর জুড়ে, রাত্রিরেই শহর যেন জেগে ওঠে। সিটি সেন্টারের ঠিক রেক্স হোটেলের অপর পারে ট্যাক্স মার্কেটের (ট্যাক্স মার্কেট শুনলাম ভেঙ্গে দিচ্ছে, অন্য কিছু হবে, আমার বড় প্রিয় জায়গা ছিলো) সামনের রাস্তা জুড়ে, নদীর তীর পর্যন্ত গোটা রাস্তাটা দারুন সাজায়, ঠিক মাঝখানে ফুলে ফুলে ভর্তি। একবার তো রীতিমত একটা গ্রাম তৈরী করে দিয়েছিলো রাতারাতি। সেই ধান গাছ মাথা দোলাচ্ছে, পুকুর সব কিছু। মজা হচ্ছে এই একটা রাস্তা যেহেতু আটকানো তাই প্যারালাল রাস্তাগুলো সব কড়া নজর রাখা হয় যাতে পরিবহন ব্যবস্থা অচল না হয়ে যায়। আমাদের দুর্গাপুজোর কর্মকর্তারা একটু দেখে আসতে পারে কিভাবে অসুবিধা না সৃস্টি করেও আনন্দ করা যায়। আর যেদিন তেত শেষ সেদিন রাতারাতি রাস্তা পরিস্কার হয়ে যায়। পরদিন সকালে মনেই হবে না এত কিছু ছিলো সেখানে রাত অবধি। আসলে সব ছোট ছোট টব লাগিয়ে তৈরী হয়, কাজেই গাড়ী বোঝাই করে টব গুলো, বা যে বাড়ী বা অন্য কিছু বানানো হয় তার পার্ট গুলো ও সহজে খুলে, তুলে নিয়ে চলে যায়। সময় লাগে না। আর এখানকার মানুষ জানে, এটা নিয়ম , মানতে হবে। আমাদের মতন নিয়ম মানেই ভাঙতে হবে আর তা নিয়ে বিপ্লব করতে হবে এই ভাবনাটা ভাগ্গিস নেই।আর খাবারের স্টল গুলোতে নানান ধরনের মাংস পাওয়া যায় এই সময়। এখান থেকে কুমীর আর উটপাখির মাংস ও খেলাম, সেঁকে দেওয়া। খুব আলাদা কিছু লাগে নি অবশ্য।

তেতের শুরুতে আর ইংলিশ নিউ ইয়ারের শুরুতে বাজি ফাটানো হয়। তবে এখানে কনসেপ্ট টা অন্য। এখানে বাজিটা সরকার থেকে জ্বালানো হয়, নদীর পারে, সারা শহরের মানুষ এসে ভীড় করে তা দেখে। ব্যক্তিগত ভাবে নয়। সব ই আতস বাজি। আকাশে নানা রঙের ম্যাজিক চলতে থাকে বেশ কিছুক্ষন। একবার আমিও গেলাম দেখতে। সবাই বাইক , সাইকেল নিয়ে ভীড় করে। লোকে লোকে ঠাসাঠাসি অবস্থা। মজার ব্যাপার হচ্ছে এত ভীড়েও কোন অসভ্যতা সহ্য করতে হয় না। আমাদের ভারতীয় মেয়েদের মেয়ে হয়ে ওঠা ইস্তক নিজের শরীর নিয়ে যে চুড়ান্ত অস্বস্তি আর লজ্জা নিয়ে মরতে হয়, এখানে তা নয়। আমাদের কেমন একটা অভ্যেস ই হয়ে যায় ভীড় দেখলেই ব্যাগটা বুকের কাছে তুলে বা হাত কে রেডি রেখে নিজেকে বাঁচিয়ে চলা অকারন অস্বস্তি বা ব্যাথা পাওয়া থেকে নিজেদের বাঁচাতে, এখানে তা হয় না। কিন্তু এখানে সেক্স নিয়ে অত ট্যাবু নেই। বাচ্চাকাচ্চা বড় হয়ে গেলেই তারা পার্টনার খুঁজে নেয় আর সেখানে প্লেটোনিক লাভ বলে কিছু নাই। যদিও বিয়ের আগে বাচ্চা সমাজে অ্যাক্সেপ্টেড নয়। এবার ব্রেক আপ ও যথেষ্ট হয়, যখন ফাইনালি বিয়ে করতে যাচ্ছে তখন দুজনেই জানে যে অপর পক্ষ কৌমার্য্য রক্ষা করে রেখেছে এমন নাও হতে পারে। এমনকি মিল না হলে ডিভোর্স ও যথেচ্ছ হয়। তবে ঐ আর কি, পরকীয়াটা ও সমাজে মোটেই মেনে নেওয়ার নয়। মানে যখন যে রিলেশনেই থাক না কেন তার প্রতি দায়বদ্ধ থাকলেই হলো। আমার মাঝে মাঝে খটকা লাগে, আসলে আমাদের বিবাহ বহির্ভুত যে কোন সেক্স ই পাপ এই ভাবনাটা আর তার চেপে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা টা ই এই অসভ্যতার মূল কারন, নাকি আমাদের সমাজে মেয়েদের শারিরীক ভাবে হ্যারাস করে দমিয়ে দেওয়ার সহজ পদ্ধতি কাজে লাগিয়েই বেশিরভাগ ব্যর্থ সাইকো মানুষেরা সুযোগ নেয়।কে জানে! তবে যুগ পাল্টাচ্ছে এটাই আশার কথা।
đang được dịch, vui lòng đợi..
 
Các ngôn ngữ khác
Hỗ trợ công cụ dịch thuật: Albania, Amharic, Anh, Armenia, Azerbaijan, Ba Lan, Ba Tư, Bantu, Basque, Belarus, Bengal, Bosnia, Bulgaria, Bồ Đào Nha, Catalan, Cebuano, Chichewa, Corsi, Creole (Haiti), Croatia, Do Thái, Estonia, Filipino, Frisia, Gael Scotland, Galicia, George, Gujarat, Hausa, Hawaii, Hindi, Hmong, Hungary, Hy Lạp, Hà Lan, Hà Lan (Nam Phi), Hàn, Iceland, Igbo, Ireland, Java, Kannada, Kazakh, Khmer, Kinyarwanda, Klingon, Kurd, Kyrgyz, Latinh, Latvia, Litva, Luxembourg, Lào, Macedonia, Malagasy, Malayalam, Malta, Maori, Marathi, Myanmar, Mã Lai, Mông Cổ, Na Uy, Nepal, Nga, Nhật, Odia (Oriya), Pashto, Pháp, Phát hiện ngôn ngữ, Phần Lan, Punjab, Quốc tế ngữ, Rumani, Samoa, Serbia, Sesotho, Shona, Sindhi, Sinhala, Slovak, Slovenia, Somali, Sunda, Swahili, Séc, Tajik, Tamil, Tatar, Telugu, Thái, Thổ Nhĩ Kỳ, Thụy Điển, Tiếng Indonesia, Tiếng Ý, Trung, Trung (Phồn thể), Turkmen, Tây Ban Nha, Ukraina, Urdu, Uyghur, Uzbek, Việt, Xứ Wales, Yiddish, Yoruba, Zulu, Đan Mạch, Đức, Ả Rập, dịch ngôn ngữ.

Copyright ©2025 I Love Translation. All reserved.

E-mail: